ডেস্ক নিউজ:
মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১০৭ জন ‘ভুয়া’ মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া গত ১০ বছরে বাদ পড়া ৪ হাজার ১৮৮ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম গেজেটভুক্তির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এ তথ্য জানান। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন খরচের চেয়ে বাজারমূল্য কম হওয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সব ক্ষেত্রে সঠিক নয়। মাড়াইকালে একসঙ্গে বেশি পণ্য বাজারজাতকরণে পণ্যের মূল্য কিছুটা কম থাকে। পণ্যের মান কিছুটা কম থাকায়ও এমনটি হয়। তবে সংগ্রহের পর পরিচর্যা ও সংরক্ষণ শেষে মূল্যবৃদ্ধির পর বিক্রি করে অনেক কৃষক লাভবান হন। চলতি বছর আলু, শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদির ক্ষেত্রে কৃষকেরা ভালো মূল্য পাচ্ছেন। মন্ত্রী জানান, গত ১০ বছরে ৬৯ হাজার ৬২৪ জন কৃষকের ৭৫ হাজার ৭৪০ মেট্রিক টন শস্য সংরক্ষণের বিপরীতে ১২২ কোটি ২২ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি দলের মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ এবং বন ও জলবায়ুমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানান, সুন্দরবনে সুন্দরীগাছের পরিমাণ কিছুটা কমতি থাকলেও গেওয়াগাছ তুলনামূলকভাবে বাড়ছে। এ ছাড়া ২০১৫ সালের শুমারিতে বাঘের সংখ্যা ১০৬ থাকলেও ২০১৮ সালে ক্যামেরা ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত জরিপে পাওয়া বাঘের সংখ্যা ১১৪। সুন্দরবন রক্ষায় ৪৫৯ কোটি ৯২ লাখ ৫৬ হাজার ৯০০ টাকার ৫ বছর মেয়াদি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ জুলাই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
সরকারি দলের সাংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বনমন্ত্রী বলেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সরকার ৪৮টি রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য এলাকা ২০টি, জাতীয় উদ্যান ১৯টি, ইকোপার্ক ৩টি, বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা ২টি, সাফারি পার্ক ২টি, এভিয়ারি ইকোপার্ক একটি ও মেরিন পার্ক একটি।
পাঠকের মতামত: